স্যালুট করা ছাড়া আর কোন প্রকার প্রশিক্ষণ নেই । এরপরও দিনের পর দিন রাজধানীল সব বড় বড় শপিং মল , পাড়া মহল্লাসহ রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সিকিউটিটি সার্ভিসের নিরাপত্তাকর্মীরা । পেটের দায়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে যুক্ত নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই এখন চিন্তিত । নাঈম আল জিকোর প্রতিবেদন ।
মাদারিপুরে কৃষি কাজ করতেন সিকান্দার । বয়স ৫৫ বললেও শারীরিক গঠন বলছে ৭৫ বছরের কম নয় । চার সন্তানের বিয়ে দেয়ার পর বেশ কয়েক বছর ধরেই এই এলাকার নিরাপত্তার কাজ করছেন তিনি । প্রশিক্ষণ বলতে সিকিউরিটিজ কোম্পানি থেকে কিছুই দেয়া হয়নি তাকে । শেখানো হয়নি আত্মরক্ষার কৌশলও ।
৭৫ বছর বয়সী আলী আহম্মদও ২০ বছর আগে কৃষি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন এই চাকুরিতে । একই অবস্থা শুকুর আলী , নুর মোহাম্মদসহ অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীর । এদের কাউকেই দেয়া হয়নি কোন প্রকার প্রশিক্ষণ । আর এরই ধারাবাহিকতায় খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালের সামনে কাজী সালাউদ্দিন মাসুম নামে পঞ্চাশোধ এক নিরাপত্তাকর্মীর প্রশিক্ষণের অভাবেই মৃত্যু হয় ।
তার মুখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ বলছে । চুরিতে বাধা দেয়ার সূত্রধরে চোরেরা নিরাপত্তা কর্মীকে ধরে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । নিরাপত্তাকর্মীদের কাজ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন নগরবাসী ।
এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনা গেলে , চুরি , ডাকাতি অনেকাংশেই কমে যাবে বলেও মনে করছেন নগরবাসী ।