ঈদে অতিথি আপ্যায়নে অন্যতম অনুষঙ্গ লাচ্ছা সেমাই। বছরজুড়ে এই সেমাইয়ের চাহিদা থাকলেও উৎসবের আগে তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর তাই ঈদ উপলক্ষে নীলফামারীতে লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। বেশিরভাগ কারখানাতেই সেমাই তৈরি হচ্ছে নোংরা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।
মানহীন ডালডা ও পোড়া পাম অয়েলে ভেজে মুখরোচক লাচ্ছা সেমাই তৈরি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব সেমাই চটকদার প্যাকেটে ভরে বাহারী নামে হচ্ছে বাজারজাত। এ ধরনের মানহীন খাবারে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছন নীলফামারী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রহিম।
তবে নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানালেন, ভেজাল সেমাই উৎপাদন বন্ধ করতে এবং খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নীলফামারীতে ২২টি সেমাই তৈরির কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কারখানাই চলছে অনুমোদন ছাড়া।
/এডব্লিউ