হত্যা-আগ্রাসন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে রাশিয়াকে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছরে এই হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে উত্তাল জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশনও। পশ্চিমা দেশগুলো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যেকোনো মূল্যে বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে রাশিয়াকে। এদিকে, পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মস্কো বলেছে, অস্তিত্বের ওপর আঘাত আসলে একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না।
ইউক্রেনে অভিযানের এক বছর পূর্তিতেও আগ্রাসী রুশ বাহিনী। বাখমুত লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে হামলার পরিধি বাড়িয়েছে রাশিয়া। রুশ সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপ জানায়, নতুন করে বাখমুতের একাধিক এলাকার নিয়ন্ত্রণও নেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় জাতিসংঘে তোপের মুখে পড়ে রাশিয়া। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর এক বছরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশেষ অধিবেশনে মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, গেলো এক বছরে রাশিয়াকে আমরা আরও কোণঠাসা করতে সমর্থ হয়েছি। বিশ্ব আজ রাশিয়াকে চিনছে একটা আগ্রাসী দেশ হিসেবে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, রাশিয়াকে যেভাবেই হোক বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। কারণ, এই দেশটি গেলো এক বছরে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশকে ধ্বংস করেছে। সারা বিশ্বকে ঠেলে দিয়েছে নানামুখী সংকটরের দিকে। এর দায় মস্কোকে শোধ করতেই হবে।
হামলার বর্ষপূর্তিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের প্রত্যয়, যেভাবেই হোক না কেন বিতারিত করা হবে রুশ বাহিনীকে। ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, জয়ী আমরা হবোই। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। আমরা ভেঙে পড়িনি। আমরা অনেক কঠিন পরীক্ষা অতিক্রম করেছি। যারা এই দুর্ভোগ, এই যুদ্ধকে ইউক্রেনে নিয়ে এসেছে, তাদের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
এদিকে, ইউক্রেন অভিযানের এক বছরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কোও। মাতৃভূমির প্রতি নজর দিলে শত্রপক্ষকে ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি বলেন, ওরা কি ভেবেছিল আমরা ছাড় দেবো? ভুলে গেলে চলবে না, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা এই শিক্ষা পেয়েছি যে, কেউ আমাদের মাতৃভূমির দিকে নজর দিলে তাদের নিঃশেষ করে দেয়ার। আমাদের কাছে রাশিয়াকে রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যুতে এক বিন্দু ছাড় নয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের এ পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রাসী পদক্ষেপই দায়ী: জাতিসংঘে চীন
/এম ই