মৌলভীবাজারে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দালাল ছাড়া পাসপোর্ট তৈরীতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের অভিযোগ।
বাংলাদেশ সরকারের ই-পাসপোর্ট সেবাটি মৌলভীবাজার শহরের মাতারকাপন, শমসেরনগর রোডের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ২০২০ সাল থেকে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়। ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল দালালের দৌরাত্ম থেকে জনসাধারণের ভোগান্তি কমানো।
ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিকে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কয়েকদিন ভালো সেবা দেয়া হলেও বর্তমান সময়ে দালাল ছাড়া কেউ পাসপোর্টের আবেদন করলে মিলছে না বায়োমেট্রিক দেয়ার তারিখ। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা এই আবেদন গুলো ফিরিয়ে দেন।
অথচ একই সময়ে ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক করা আবেদনগুলো জমা নেয়া হচ্ছে। এই সমস্যাটি হচ্ছে ই-পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইট থেকে যখন ফাইলটি জমা দেয়ার অ্যাপয়ন্টমেন্ট তারিখ না দিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অফলাইন অ্যাপয়ন্টমেন্ট নেয়া হয়। কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তারিখ পিছিয়ে দেন। কারণ হিসেবে উনারা বলেন যে আবেদনের তথ্য এখনো সার্ভারে এসে পৌছায় নি।
এই বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন যে, ই-পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর সেটা সাথে সাথেই সার্ভারে সংরক্ষণ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কাছেও তথ্য গুলো সাথে সাথে পৌছে যাবে।পাসপোর্ট অফিসপা
পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া কোনো ফাইল দেয়া হলে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ফাইলগুলো জমা না নিয়ে তা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন। অথচ দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বসে থাকেন।
পাসপোর্ট করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সঠিক কোনো সমাধান দেন না। উল্টো অনেক অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়।
এভাবেই চলছে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ই-পাসপোর্ট সেবার কার্যক্রম।
দালাল ছাড়া ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা এই ভোগান্তির সমাধান চাচ্ছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপর মহলের কর্মকর্তা ও জেলার দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদের পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান ভোক্তভোগীরা।