আফগানিস্তান থেকে জনগণকে সরিয়ে নিতে এবার বাণিজ্যিক বিমান সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । আগস্টের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের আশা করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারো বলেছেন , আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের তার প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সঠিক এবং যৌক্তিক ।
এদিকে , বৈধতা সংকটে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জে পড়েছে তালেবান । যদিও তালেবান শাসকেই যুদ্ধহীন ও শান্তির বলে মনে করছেন আফগানিস্তানের অনেক মানুষ । কাবুল দখলের পরই শান্তি এবং ঐক্যের ডাক দিয়ে আসছে তালেবান । ঘোষণা করছেন সাধারণ ক্ষমার ।
সর্বশেষ পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিসহ কয়েকজন নেতাকে ক্ষমা ঘোষণা করেছে তারা । সেইসঙ্গে আফগান বাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে দেশ না ছাড়ার । তবুও গেল কয়েকটিন ধরে কাবুল বিমানবন্দরে মানুষের ঢল ঠেকানো যাচ্ছে । দেশ ছাড়ার চেষ্টায় হুড়োহুড়িতে এরইমধ্যে বেশ কয়েক জনের প্রাণ গেছে ।
এ ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দুষছে তালেবান । বলছে , বাইডেন প্রশাসনের আহ্বানে মানুষ অনবরত বিমানবন্দরগুলোতে জড়ো হচ্ছে । তবে তালেবানের এই অভিযোগের দিন না পেরোতেই আফগানবাসীকে স্থানাস্তরে ১৮ টি বাণিজ্যিক বিমান সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ।
পেন্টাগন জানায় , এসব বিমান দিয়ে আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষকে তৃতীয় কোনও দেশে স্থানান্তরের করা হবে । আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ।
যদিও প্রয়োজন পড়লে সময়সীমা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি । রবিবার হোয়াইট হাউজে বাইডেন এসব কথা বলে ফের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সাফাই গাইলেন ।
আজ না হয় , ১ বছর , ৫ বছর , ১০ বছর পর তো সেনা সরাতেই হতো ? যুদ্ধের তো অবসান করতে হবে ? আমরা আর আমাদের ছেলেদের আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে পাঠাতে চাই না । সময়ই বলে দিবে ,
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার কতো যুক্তি সংগত ও সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলো । কাবুল দখলের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো সরকার গঠন করতে পারেনি তালেবান । এখনো পর্যন্ত যায়নি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ।
তবে দেশবাসীকে তালেবানের শাসন মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ভাই হাসমত ঘানি ।তালেবানের অধীনে আফগানদের মঙ্গল হবে বলে মনে করেন তিনি । আমরা শান্তি চাই । আর যুদ্ধ চাই না । আমরা এই যুদ্ধবাজ সরকারের শাসন থেকে মুক্তি চাই । আমরা খুবই খুশি ।
কেন খুশি হবো না ? আশরাফ ঘানি সরকার হত্যা , লুটপাট , দুর্দশা ছাড়া আমাদের কিছুই দিতে পারেনি । আমরা আজীবন তালেবান অধীনেই থাকতে চাই ।
এসব ঘটনায় আত্মবিশ্বাসী তালেবান এবার পঞ্জশির প্রদেশ দখলে নামছে । তবে সশস্ত্র সংগঠনটির কাছে আত্মসমর্পন নারা পঞ্জশির উপত্যকা দখলে রাখা তালেবান বিরোধী নেতা আহমদ ।