মহামারির সময়েও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ বাংলাদেশ । প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স , আর রপ্তানি আয়ের উপর নির্ভর করেই প্রবৃদ্ধির এই চাকা সচল রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের । পরিকল্পনামন্তী অবশ্য বলছেন ,
শুধু প্রবৃদ্ধি নয় মহামারিতে মানুষের জীবন – জীবিকা বাচাতেই নজর বেশি তাদের ।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন , লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকলে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা ধরে রাখা সম্ভব হবেনা । খেটে খাওয়া কৃষক সারাদিন ঘাম ঝড়াচ্ছে মাঠে । তার শ্রম আর ঘামের সাথে প্রযুক্তির সমন্বয়ে ভৌগুলিক ভাবে ছোট দেশটিও হয়েছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন । তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাতের শ্রমিকরা কাজ করছে রাতদিন ।
পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যস্ত প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী শ্রমিক । হিসেব বলছে , শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার , আগের বছরের চেয়ে যা ৩৬ শতাংশ বেশি ।
আবার মহামারির বছরে মোট পন্য রপ্তানি হয়েছে ৩৮.৭৬ বিলিয়ন ডলার । যার প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ বেশি । পাশাপাশি কৃষি খাতেও উৎপাদন হচ্ছে বেশ । সবমিলে ত্বরান্বিত হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিআইএমএফের
হিসেবে ২০২০ সালে বিশ্বের তৃতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ । বাংলাদেশের উপরে ছিল গায়ানা আর দক্ষিন সুদান । চলতি অর্থবছরেও যা ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে আশাবাদি সংশ্লিষ্টরা ।
তবে করোনা মহামারিতে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছে লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষ । সেই সব মানুষদের কাজে ফিরিয়ে আনা আর তরুণদের সহায়তার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা । অগ্রগতির এ যাত্রায় অবশ্য বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে উৎপাদন বন্ধ রাখা । শীর্ষ ব্যবসায়ীরা তাই বলছেন , কঠোর লকডাউনেও চালু রাখা উচিত কলকারখানা ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী অবশ্য বলছেন , করোনা মহামারির এই সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষকে বাচাতে সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করছে সরকার ।