যে সেমাই খেয়ে আপনি ঈদের নামাজ পড়তে যাবেন , সেটিই তৈরী হচ্ছে মারাত্নক নোংরা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে । রাজধানী ও তার আশপাশে গোপন কারখানায় , গরুর চর্বি আর পোড়া পামওয়েলে ভেজে মুখরোচক লাচ্ছা সেমাই তৈরী করছেন অসাধুচক্র । আর বাংলা সেমাই তৈরির পরিবেশটাও বেশ অস্বাস্থ্যকর । বিশেষজ্ঞদের মতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী এসব সেমাই খেলে মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন ভোক্তারা । লাচ্ছা সেমাই ।
ঈদ বা রোজায় চাহিদার সঙ্গে বাড়ে তৈরির ব্যস্ততা । কিন্তু এই চাহিদা আর মুনাফার বিপরীতে একবারেই বিলীন পণ্যটির মান । রুচিশীল আর মুখরোচক ভেবে ভোক্তারা এই সেমাই খেলেও , তৈরির পরিবেশটা এমনই করুণ ও নোংরা । রাজধানীর পাশে হেমায়েতপুরে সোহেল ফুডের এই কারখানায় গরুর চর্বি আর ডালডায় ময়দার খামির দিয়ে চলছে খোলা হাতের কসরত ।
শ্রমিকের হাতের কসরতে তৈরি সেমাইয়ের বল পোড়া পামওয়েলে ভাজা হলে তৈরী হয় তথাকথিত চকচকে ঘিয়ে ভাজা ১ নম্বর লাচ্ছা সেমাই । এই কারখানাতেই চরম নির্মমতায় তৈরি হচ্ছে বাংলা সেমাই । এসবই খোলামেলা পরিবেশে রোধে শুকিয়ে করাতের কাটাকাটিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে বাজারজাতের জন্য । কামরাঙ্গীরচরে এই সেমাই তৈরির পরিবেশও বেশ অস্বাস্থ্যকর । সেমাই উৎপাদন শেষে প্যাকেটজাতের প্রক্রিয়াও অস্বাস্থ্যকর ।
কোম্পানীটি আবার অবৈধভাবে সেমাই বাজারজাত করছে নামী ব্র্যান্ডের মোড়কে । একই এলাকার আরেক কারখানায় রাতে তৈরি করে সেমাই । তা আবার আবার বাজারজাতের জন্য রাখা হয়েছে ধুলোবালিতে ঠাসা নোংরা পরিবেশে । বছর জুড়ে অভিযান হয় আসে নতুন বছর , তবুও খাদ্য জালিয়াতকারীদের দৌরাত্ন থেকে নিস্তার মেলে না ভোক্তাদের । তাই সচেতনতার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের ।