বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চল এখন পাকা মরিচের রঙে লালে লাল । মরিচ তোলা , বাছাই , শুকানো নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ – কৃষাণীরা । প্রতি বছরের মত এবছরও মরিচের আশানুরুপ উৎপাদন হওয়ায় খুশী কৃষকরা । এই চরাঞ্চলে এবার শত কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা । বগুড়া জেলায় সারা বছরই মরিচের আবাদ করে কৃষকরা । তবে সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপাদন হয় সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলে । প্রতি বছরই ফলনও বেশ ভাল হয় ।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয় অন্তাপাড়া , কুড়িপাড়া , চরবাটি , সহ বিভিন্ন চরে সবুজক্ষেতে এখন লাল মরিচের সমাহার । আবার কোথাও বা পাকা মরিচ শুকানো হচ্ছে রোদে । মরিচ তোলা , বাছাই , শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ – কৃষাণীরা । এখানকার মরিচের মান ভাল হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা I
সংশ্লিষ্টরা বলছেন , বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর ফলন হয়েছে ৮ থেকে ১০ মণ । প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় । এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা । চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে ।
যা থেকে শুকনো মরিচ উৎপাদন হবে ১৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ।