জ্বালানি সাশ্রয় ও অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বন্ধে জ্বালানি বিভাগের নির্দেশনায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জোরদার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুলাই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং বিপুল পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে। এই অভিযানে বাণিজ্যিক ও আবাসিক উভয় শ্রেণির অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয় তিতাস গ্যাস মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৫ এর আওতাধীন কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৫টি খানাডুলি কারখানায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া দুটি আবাসিক সংযোগ থেকে খানাডুলিতে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সর্বমোট ৬ হাজার ৩০০ সিএফটি অবৈধ লোড বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের হাটাবো এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ৩টি স্পটে ২ ডায়ার বিতরণ লাইন উচ্ছেদ করা হয়। আনুমানিক ৬৭০টি বাড়িতে প্রায় ৬৭০টি চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্যে সিটি মার্কেট, হাটাবো এবং আতলাপুর, মাছুমাবাদ এলাকার প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধ সংযোগসমূহ চিহ্নিত করে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-১ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, চিটাগং রোড এবং ডেমরার পাইটি, পাড়াডগার, কোনাপাড়া এলাকায় ৪টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে মোট ৪৩টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ২ হাজার ২০০ সিএফটি লোড কর্তন করা হয়। এই অভিযানে প্রায় ৮০০ ফুট বিভিন্ন আকারের পাইপ, ৯টি রেগুলেটর, ৮টি বার্নারসহ অসংখ্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের তালতলা, আমতলা ও জালকুড়ি এলাকায় অভিযানে ৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাস সংযোগের উৎস পয়েন্ট কিলিং করা হয়। এছাড়াও একটি অবৈধ বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয় যা থেকে প্রায় ২০০ বাড়ির ৬৫০টি চুলায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছিল। মোবাইল কোর্ট চলাকালে দোষ স্বীকার করায় উল্লিখিত ৪টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে এক লক্ষ টাকা করে সর্বমোট চার লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়।
জ্বালানি অপচয় রোধ এবং বৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন, আবিবি-রূপগঞ্জ জোনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার এবং নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট এলাকার অভিযানগুলি পরিচালিত হয়।
এমআইএইচএস/