নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা, বেকারত্ব ভাতা ও অসুস্থতা সুরক্ষাসহ সামগ্রিক শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে- এমন মন্তব্য করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান কোনো অনুগ্রহ নয় বরং এটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে মূল্যায়নভিত্তিক জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রম সচিব বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে শ্রমিকদের জন্য একটি সর্বজনীন ও অধিকারভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর সংশোধনী প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কাউন্সিলের মাধ্যমে সংশোধন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে, যাতে নারী শ্রমিকদের জন্য উন্নত মাতৃত্ব সুবিধা ও এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) চালু করা যায়- উল্লেখ করেন সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, এবিএনডি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শ্রমবাজারের চাহিদা শনাক্ত করে একটি কর্মীবান্ধব সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করা হবে।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জিআইজেড), ইউএনডিপি, আইএলও ও এডিবির প্রতিনিধিরা।
এমএএস/জেএইচ