সবজিতে স্বস্তি, দাম বেড়েছে মাছের

0
4


ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে বেড়েছে মাছের দাম। ফলে মাছ কিনতে এসে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় ক্রেতাদের ঠকিয়ে বিক্রেতারা নিজেদের পকেট ভারী করছেন অভিযোগ তাদের।

সরেজমিনে নগরীর ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বেশিরভাগ সবজি কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। বিপরীতে মাছের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহ বেগুন ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটোল, চিচিঙ্গা, জিঙা, গাজর, ধুন্দল ও কাঁচামরিচের দামও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে পটোল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, জিঙা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা ও বরবটি ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বরবটি ৫০ টাকা, সজনা ৭০ টাকা, লতা ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে, ফুলকপি ৫০ টাকা পিস ও লেবু ৮ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারে গত সপ্তাহ বাউস ২২০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৪০-৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মৃগেল ২১০-২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২২০-২৫০ টাকা, রুই ও কাতল ২৬০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২৭০-৩৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১৯০-২৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ট্যাংরা ৪৬০-৭৫০ টাকা, টাকি ৩৬০-৫৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৪০ টাকা, পাঙাশ ১৬০-১৯০ টাকা, কৈ ২২০-৩৩০ টাকা, শিং ২৫০-৫৭০ টাকা, পাবদা ৩১০-৩৭০ টাকা ও শোল ৫৩০-৮১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি, ডিম, গরু ও খাসির মাংস স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি ২৯০ টাকা, সাদা কক ২৭০ টাকা কেজিতে, ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালিতে, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা হালিতে, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি কিনতে আসা শামসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এতে সবজি বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে দাম আরও কমানো প্রয়োজন। বাজারে সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে।’

সবজিতে স্বস্তি, দাম বেড়েছে মাছের

মাছ কিনতে আসা শরিফুল আলম বলেন, ‘বাজারে প্রত্যেকটি বিক্রেতা প্রচুর মাছ নিয়ে বসে আছে। দামাদামি করলেও দাম কমাতে নারাজ বিক্রেতারা। ফলে বিক্রেতাদের নির্ধারিত বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করে তাদের পকেট ভারী করছে।’

সবজি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কিছুটা কম দামে সবজি বিক্রি করছে। ফলে বেশিরভাগ সবজি কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পাইকাররা যে কোনো মুহূর্তে দাম বাড়িয়ে দিলে আমরাও ক্রেতাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হবো।’

মাছ বিক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, ‘দাম কিছুটা বাড়লেও ক্রেতার অভাব নেই। ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। সব বিক্রেতা দাম বাড়ানোর কারণে আমি দাম বাড়িয়েছি।’

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘বাজারে মনিটরিং জোরদার করা হবে। যে কোনো মুহূর্তে অভিযান চালানো হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানার আওতায় আনা হবে।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।