মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত

0
2


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, মানবজাতির অস্তিত্বের সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রোববার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন উপাচার্য।

আরবরিকালচার সেন্টারের উদ্যোগে ‘প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন করি, দূষণ ও প্লাস্টিক মুক্ত সবুজ ক্যাম্পাস গড়ি’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, পরিবেশ সংসদ এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর সমাধান বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবেশ সংসদের নেতা, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক কর্মকাণ্ড এখন অনেক বেড়েছে। ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। গাছের পাতা পোড়ানো ও আতশবাজি বন্ধ এবং প্লাস্টিক বর্জন কর্মসূচিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সমাজকে সম্পৃক্ত করে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে আমরা এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বছরব্যাপী এসব কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সেমিনার শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সিনেট ভবন থেকে এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি মল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে মল চত্বরে বেশকিছু দেশীয় গাছের চারা রোপণ করা হয়।

এফএআর/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।