হাটে কোরবানির পশু কম, নতুন করে গরু আনছেন ব্যাপারীরা

0
0


গত দুদিন ধরে রাজধানীতে বেশ জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। শেষ মুহূর্তে এসে হাট যেন আরও জমে উঠেছে। বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়, তবে সে তুলনায় হাটে কোরবানির পশু কম। এ অবস্থায় আজও নতুন করে হাটে আসছে কোরবানির পশু।

জুরাইন থেকে শনির আখড়া পশুর হাটে আসেন জহিরুল ইসলাম। কোরবানির জন্য তিনটি গরু কিনেছেন। জাগো নিউজকে জহিরুল বলেন, তিনটি গরু ৬ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই গরুতে ৫০ হাজার টাকা বেশি লেগেছে। কারণ, শেষ মুহূর্তে গরু কম। গতকাল রাত থেকে বিক্রি বেড়েছে, পুরো হাটের প্রায় সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এখন তো না কিনে উপায় নেই।

হাট আয়োজকদের সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের হাটে দূর-দূরান্ত থেকে পশু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। কুষ্টিয়া, নড়াইল, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে ব্যাপারীরা আসছেন। গত শনিবার বিকেলে হাটে গরু আসা শুরু হয়। এরপর রবি, সোম ও মঙ্গলবার টুকটাক বিক্রি হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে রাত এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সারাদিন প্রচুর বিক্রি হয়। রাতের মধ্যে মোটামুটি হাট খালি হয়ে গেছে। যেসব ব্যাপারী গরু বিক্রি করেছেন তারা রাতে এলাকায় গিয়ে আজ আবার গরু নিয়ে এসেছেন। আজও মোটামুটি পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু এসেছে, বিক্রিও ভালো।

তিনি বলেন, দুপুরে বৃষ্টি আর জুমার নামাজের কারণে ক্রেতা কিছুটা কম ছিল। বিকেল থেকে আবার ক্রেতা আসছেন, সামনে চাপ আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন

চার ভাই মিলে মঙ্গলবার বিকেলে ১০টি গরু নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে এসেছেন রাসেল সরকার। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ১০টি গরুর মধ্যে ৬টি বিক্রি করেছি। এখনো চারটি আছে। আশা করি বিক্রি হয়ে যাবে।

এবার গরুর দাম কেমন পেয়েছেন জানতে চাইলে রাসেল সরকার বলেন, গরুর হাটে এসে প্রথমে একটু হতাশ হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ দাম একটু বেড়েছে। নিজেদের খামারের গরু বলে দর দাম করে বিক্রি করছি। চারটি গরু বিক্রি করেছি যথাক্রমে এক লাখ ২০ হাজার, এক লাখ ৭০ হাজার, এক লাখ ৮১ হাজার এবং এক লাখ ৯১ হাজার টাকায়।

রায়েরবাগের মুহাম্মদবাগ এলাকার জাহাঙ্গীর ডেইরি ফার্ম থেকে ৬টি গরু নিয়ে শনির আখড়া হাটে এসেছেন জাহাঙ্গীর। এরই মধ্যে চারটি বিক্রি করেছেন, বাকি আছে দুটি। জাগো নিউজকে জাহাঙ্গীর বলেন, চারটি গরু নিয়ে আসছিলাম গতকাল বৃহস্পতিবার। এর আগে হাটে প্রচুর গরুর আমদানি দেখে খুব ভয়ে ছিলাম। কারণ গত কয়েক দিন হাটের অবস্থা ভালো ছিল না। কিন্তু বুধবারের পর চিত্র পাল্টেছে। বৃহস্পতিবার এবং আজ আগের চেয়ে ভালো দামে গরু বিক্রি হচ্ছে। খামার কাছে হওয়ায় পরে আরও দুটো গরু নিয়ে আসি। এরই মধ্যে চারটি বিক্রি হয়েছে। আশা করি বাকি দুটো বিক্রি করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

ফরিদপুর থেকে গরু নিয়ে আসা শিহাব জাগো নিউজকে বলেন, ১৩টি গরু নিয়ে আসছি, এরই মধ্যে ১২টি বিক্রি করেছি। বাকি একটার দাম চাচ্ছি তিন লাখ ১০ হাজার টাকা। ক্রেতারা দাম বলছেন ২ লাখ ১০ হাজার। আর একটু দেখবো, যদি ২ লাখ ৩০ হাজরের ওপরে না ওঠে তো ছাড়বো (বিক্রি করবো) না।

রাজবাড়ী থেকে নতুন করে ৯টি গরু নিয়ে এসছেন মাজেদ। দুপুরে শনির আখড়া ওভারব্রিজের পূর্ব পাশে ট্রাক থেকে গরু নামাচ্ছিলেন। সেসময় জাগো নিউজকে মাজেদ বলেন, আগে ১৯টি গরু বিক্রি করে গিয়ে আজ আবার গরু নিয়ে আসলাম রাজবাড়ী থেকে। আশা করছি নয়টি গরু বিক্রি হয়ে যাবে। আগের অভিজ্ঞতায় বলি এখনো অনেকে গরু কেনেননি। তাই আজ তাদের গরু কিনতেই হবে।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।