মেসি-নেইমার-এমবাপেকে নিয়েও পারেনি, এবার কি পারবে পিএসজি?

লিওনেল মেসি, নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপের মতো বিশ্বসেরা তিন ফুটবলারকে নিয়েও পারেনি প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। টানা দুই মৌসুম (২০২১-২২, ২০২২-২৩) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে প্যারিসের ক্লাবটিকে।

এখন পিএসজিতে মেসি, নেইমার, এমবাপে নেই। ২০২৩ সালে মেসি ও নেইমার আর ২০২৪ সালে এমবাপে পিএসজি ছেড়ে গেছেন। একটা সময় তারকায় ঠাসা দলটিতে এখন তেমন বড় নাম নেই। তবে পারফরম্যান্সে সেই দলটিই অপ্রতিরোধ্য!

আজ শনিবার মিউনিখে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে নামবে পিএসজি। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।

ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলান অতীতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেলেও ফ্রান্সের পিএসজি কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করেও সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। তবে এর আগেও একবার ফাইনালে খেলেছিল তারা। ২০২০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল পিএসজির।

আপাত দৃষ্টিতে যদি দেখা যায়, তাহলে মনে হতেই পারে প্যারিসের দলটি একদমই মধ্যমানের। কিন্তু ফুটবলাররাই যে আসল কেরামতি দেখিয়ে দিয়েছেন। আশরাফ হাকিমি, মারকুইনহস, ফ্যাবিয়ান রুইজ, বারকোলাদের মধ্যে সব থেকে বড় তারকা যদি কেউ থেকে থাকেন, তাহলে সেটা গোলরক্ষক ডোনারমা। বাকিরা কেউই তেমন তারকা গোছের নয়।

এদিকে পিএসজির জয়ের বিষয়ে এবারে ক্লাব অফিশিয়ালরা এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, ইন্টারের বিপক্ষে নামার আগেই তারা প্যারিসে একপ্রকার জয় উদযাপনের মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখেছেন। জানা যাচ্ছে, প্যারিসের বিশ্ব বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারকে সেদিন রাঙিয়ে তোলার হবে পিএসজির সমর্থনে। পিএসজি গোল করলেই সেই আইফেল টাওয়ারেও তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে।

প্যারিস শহরের মেয়র আনে হিদালগো জানিয়েছেন, ‘শনিবার আমাদের এখানে সবাই পিএসজিকেই সমর্থন করবে। ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নশিপ আর কাপ ডে ফ্রান্সের পর আমরা সবাই পিএসজির সঙ্গেই রয়েছি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে। প্যারিসের ফুটবল ইতিহাসে একটা আলালা জায়গা রয়েছে। পিএসজি আমাদের স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছে, আর আমরাও আশা করব প্যারিস ঝকঝক করবে তাদের সাফল্যে।’

বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় হবে এই ফাইনাল ম্যাচ। যাতে খেলার সময় বা পরেও কোনোরকম অশান্তি না তৈরি হয়, তাই ফ্রান্সের রাজধানীতে ইতিমধ্যেই ৫৪০০ পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

একমাত্র ফরাসি দল হিসেবে ইউরোপিয়ান লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের নজির রয়েছে মার্সেলেইয়ের। তারা ১৯৯৩ সালে ট্রফি জিতেছিল।

মজার বিষয় হলো, মার্সেইলেই যেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেবারও তারা মিলানের একটি দলকেই হারিয়েছিল, সেটা ছিল এসি মিলান। আরও কাকতালীয় বিষয় হলো, সেবারও ফ্রান্সের দলটি ম্যাচ জিতেছিল মিউনিখের মাটিতেই। এবার কি তবে পিএসজি?

এমএমআর/এমএস