সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার ও বিচারসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগে দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থী’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
বুধবার (২১ মে) দুপুর ২টায় প্রক্টর অফিসের গেট বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা। যেখানে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতৃত্বে এ প্ল্যাটফর্মটি গঠিত হয়েছে। এ সময় ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘সাম্যের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আটদিন হয়ে গেলো, প্রশাসন জানে না’, ‘এনএসআইয়ের প্রক্টর, মানি না মানি না’ সহ নানা স্লোগান দেন।
তাদের হাতে ‘ছাড়লে গদি, কমবে আপদ; ক্যাম্পাস হবে নিরাপদ’, ‘ক্যাম্পাসে মব হয়, ভিসি প্রক্টর ঘুমিয়ে রয়’, ‘আট দিন চলে যায়, খুনি অজানা রয়ে যায়’ সহ বিভিন্ন ফেস্টুন দেখা যায়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রশাসন গাফিলতি করছে দাবি করে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু বলেন, এই প্রশাসন নিরাপত্তাসহ সবক্ষেত্রে গাফিলতি করছে। আমার ভাই হত্যার পর দেখি এই প্রক্টর রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে। এই প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো মামলা করার উদ্যোগ দেখতে পাইনি, বিপরীতে ক্লাস পরীক্ষা চালু রেখেছে যা সাম্যের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যেই রিপোর্ট ৩ দিনে আসার কথা কিন্তু আজকে ৮ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও তার কোনো সুরাহা দেখতে পাইনি।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভ্যুত্থানের পরে নিযুক্ত এই ভিসি-প্রক্টরকে মনে করতাম শিক্ষার্থীদের ভরসার জায়গা হবে। কিন্তু তারা আমাদের আশাহত করেছে।
প্রক্টরকে এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের দালাল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রক্টরের আমলে ফ্যাসিস্টের ছবি মুছে ফেলা হয়, পিটিয়ে তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়, পহেলা বৈশাখে ফ্যাসিস্টের মোটিভ পুড়িয়ে ফেলা হয়, ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে কিন্তু তিনি তার কোনো বিচার করতে পারেন না। তাই প্রশাসনকে আহ্বান জানাবো, আপনারা সসম্মানে পদত্যাগ করুন।
এফএআর/এমআরএম/এমএস