ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এ বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রোববার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।
উপাচার্য আরও বলেন, এ হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপাচার্যের সভাকক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এফএআর/এমএএইচ/