টাঙ্গাইলে কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন কেউ বের হচ্ছেন না।
সবশেষ রোববার (১১ মে) বিকেল ৩টার দিকে জেলায় ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ আদ্রতা ছিল ৩২ শতাংশ।
টাঙ্গাইল শহরে দেখা যায়, রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অধিকাংশের মাথায় কাপড় ও ছাতা। গরমে রিকশাচালক, দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রিকশাচালক আবু বক্কর জাগো নিউজকে বলেন, গরমের কারণে লোকজন বের হচ্ছে কম। ফলে আমাদের আয় কম হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৬০০ টাকা ইনকাম হয়েছে। কিন্তু অন্য সময়ে ১ হাজার টাকা হতো।
আরেক রিকশাচালক আব্দুল বাতেন বলেন, যাত্রী কম থাকায় গাছের নিচে বিশ্রাম করছি। কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তিত। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০০ টাকা আয় করতে পেরেছি।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক খায়রুল হাসান বলেন, গরমের কারণে হাসপাতালে তাপজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগী রয়েছেন। তাপপ্রবাহে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
তিনি জানান, এসময় পর্যাপ্ত পানি পান করা, সরাসরি রোদে না যাওয়া, হালকা ও সুতির কাপড় পরিধান করা এবং শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।
জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত কয়েকদিন ধরে টাঙ্গাইলে ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে শনিবার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, জেলার তাপমাত্রা কয়েকদিন ধরে তুলনামূলক বেশি। আগামী কয়েকদিন তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/জেডএইচ/জিকেএস