ছেলে বন্ধুকে ‘বিয়ে’ করতে না পেরে কিশোরের বিষপান

0
2


ছেলে বন্ধুকে বিয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বরগুনার এক কিশোর। সোমবার (৫ মে) দিনগত রাত ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিষপানকারী কিশোর এবং অপর কিশোর উভয়েই বরগুনার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কের একপর্যায়ে বামনার কিশোর বিয়ের দাবি জানালে মঠবাড়িয়ার কিশোর তা প্রত্যাখ্যান করে এবং ফেসবুক থেকে তাকে ব্লক করে দেয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার (৪ মে) দুপুরে কুমিরমারা এলাকায় তার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ওঠে বামনার ওই কিশোর। সেখানে সে ওই কিশোরের পা ধরে বিয়ের অনুরোধ করে এবং বিষপানের হুমকি দেয়। পরে সেখানে মঠবাড়িয়ার কিশোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বাড়ি ফিরে রাতেই বিষপান করে বামনার কিশোর।

গুরুতর অবস্থায় ওই কিশোরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বাড়িতে ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় মঠবাড়িয়ার কিশোর।

এ ঘটনায় মঠবাড়িয়ার ছেলেটি বলে, ‌‌‘সে বারবার প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আমাকে মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছিল। রোববার সে আমাদের বাড়িতে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে বিয়ে করার অনুরোধ জানায় এবং বিষের বোতল নিয়ে বিষপানের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানে।’

এ বিষয়ে মারা যাওয়া কিশোরের মা বলেন, ‘গতকাল রাত ১২টার দিকে আমার ছেলে মারা যায়। পরে সকালে আমরা ওর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাই। এরপর পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য ওর মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছে। আমরা পোস্টমর্টেম করতে চাইনি। তারপরও পুলিশ মরদেহ নিয়ে গেছে।’

জানতে চাইলে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশীদ হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, নিহত কিশোরের বাবা প্রবাসী। তার মা তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে দাবি করেছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী অপমৃত্যুর মামলার পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নুরুল আহাদ অনিক/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।