একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ধান মেলে আরও চারটি চোরাই মোটরসাইকেলের। এরপর চোরাই পাঁচটি মোটরসাইকেল উদ্ধারের পাশাপাশি চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১ মে থেকে ৩ মে পর্যন্ত কুমিল্লা, লাকসাম, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার ও চোরাই মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- সৈকত হোসেন (২০), মো. হুমায়ুন (২৯) ও মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবু (২৬)।
ধানমন্ডি থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, গত ১ মে রাত আনুমানিক ৮টায় ইফাজ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি তার সুজুকি জিক্সার-১৫০ সিসির মোটরসাইকেলটি ধানমন্ডি লেক সংলগ্ন ৭/এ রোডের পার্কিংয়ে রেখে কাছের একটি চায়ের দোকানে যান। রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ফিরে এসে তিনি দেখেন তার মোটরসাইকেলটি যথাস্থানে নেই। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ধানমন্ডি থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান।
ঘটনাটি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডি থানার একটি দল অভিযানে বের হয় জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ, লাকসাম এবং নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইফাজ আহমেদের চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ আরও চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাটখিলসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। ইফাজ আহমেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির ধানমন্ডি মডেল থানায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
কেআর/এএমএ