স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, সরকার টিকাদান প্রোগ্রামকে আরও জোরদার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকার যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল তা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি এবং বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে টিকার সাপ্লাই নিশ্চিত করেছি।
তিনি বলেন, এ বছরও টিকা ক্রয়ের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ গ্রহণ করা হয়েছে। টিকা ক্রয়ের কাজে ইউনিসেফ আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করছে। আমার মনে হয় সবাই একসঙ্গে কাজ করে গেলে আমরা টিকাদান প্রোগ্রামকে আরও সফল করতে পারবো।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উদযাপন-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের সাফল্য, প্রেক্ষিত, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিবছরের মতো এবারও এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ (২৪-৩০ এপ্রিল) সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথেষ্ট গুরুত্ব এবং তাৎপর্যের সাথে বিশ্ব টিকা সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন করা হয়।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) বাংলাদেশ সরকারের সফল উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে বাংলাদেশে ইপিআই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে ইপিআই কার্যক্রম সারা দেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকা শহরে ইপিআই কার্যক্রম ১৯৮৯ সালে প্রাথমিকভাবে যাত্রা করে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে বিস্তৃত কর হয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় গত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ টিকাদান কার্যক্রমে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছি এবং ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য রোগ (ভিপিডি) নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করতে সামর্থ্য হয়েছি। বর্তমানে আমরা টিকাদান কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছি।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং গ্যাভী সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক, যুগ্ম সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী, যুগ্ম সচিব মহসীন, ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবুল ফজল সাহাবুদ্দিন খানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, একাডেমিক, গবেষক ও গণমাধ্যম কর্মী।
এসইউজে/এমআইএইচএস