এবারই প্রথম কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র উন্মুক্ত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবন মিলনায়তনে সব অংশীজনের উপস্থিতিতে এই দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়।
দরপত্র উন্মুক্তের প্রথম পর্যায়ে ছয়টি হাটে সর্বোচ্চ দরদাতা পেয়েছে ডিএসসিসি। এর মধ্যে উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাবের খালি জায়গায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন সিকদার কন্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আনিসুর রহমান টিপু। পোস্তগোলা শশ্মানঘাটের পশ্চিম পার্শ্বের নদীর পাড়ে খালি জায়গায় হাটের জন্য ২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন মোহাম্মদ আলী মিলন।
৭৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা দিয়ে রহমতগঞ্জ ক্লাবের খালি জায়গায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছে টিপু সুলতান। হাজারীবাগে ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশের খালি জায়গার ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন মেসার্স সাফি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নাফিজ কবির। মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বের খালপাড়ের খালি জায়গায় ৩ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন ফেরদৌস আহমেদ। আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পার্শ্বের খালি জায়গা ৫৫ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন জয়নাল আবেদীন রতন। তাদের শিগগির কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, এবার ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় ১১টি পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএসসিসি। তবে আজ দরপত্র জমাদান ও উন্মুক্ত করার পর তারা ছয়টি হাটে কাঙ্ক্ষিত দর পায়। আর সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পাশের খালি জায়গা, কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন খালী জায়গা ও শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাক স্টান্ড সংলগ্ন খালি জায়গায় সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দর পাওয়া যায়। এ কারণে এই তিনটি হাটে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এমএমএ/এমআইএইচএস