ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টঙ্গী-গাজীপুর রুটের পরিবহন ক্ষণিকা বাসে ও শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসিতে শেষ করে। মিছিল শেষে টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মিছিলে ‘ঢাবির বাসে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হামলাকারীর কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ সহ নানা স্লোগান দেয়।
মানববন্ধনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক আছিয়া আক্তার রেমিজা বলেন, ন্যায়ের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা সকল আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একটি কুচক্রী মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সারা দেশের কাছে বিতর্কিত অবস্থানে দাঁড় করাতে চায়। এরই ফলশ্রুতিতে তারা এমন কিছু কনটেন্ট তৈরি করছে যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহণযোগ্যতা দেশের মানুষের কাছে কমে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাহমুদ হামলাকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ উল্লেখ করে বলেন, আজ ঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে শিক্ষার্থী নামে কিছু দুর্বৃত্ত হামলা করেছে। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একটি কুচক্রী মহল অন্যদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে চায়।
অন্তর্বর্তী সরকারকে দোষীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে ইব্রাহিম বলেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্চারদের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সারাদেশে যে বায়বীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ও আজকের ঘটনায় শিক্ষার্থী সেজে কারা হামলা করেছে, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এ ঘটনায় এ সকল বিশৃঙ্খলতার ছলে কোনো অসাধু গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে কিনা তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতেও আহ্বান করেছেন ।
এফএআর/এমআরএম/জেআইএম