টানা পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতানো স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনকে বাদ দিয়ে এ মৌসুমে রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতাকে নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। লক্ষ্য ছিল লিগ শিরোপা জেতায় ডাবল হ্যাটট্রিক করা এবং এএফসির প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করা।
তিতার অধীনে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছিল না ঘরোয়া ফুটবলের নতুন পরাশক্তি দলটি। প্রিমিয়ার লিগে পিছিয়ে পড়েছে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের তিন ম্যাচই হেরেছে। তবে তার অধীনে বসুন্ধরা কিংস জিতেছিল ঘরোয়া ফুটবলের প্রথম টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপ।
ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে দশজনের আবাহনীর কাছে হেরে ফাইনালে ওঠাটাই অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল কিংসের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে ফাইনালমঞ্চে ওঠা সেই কিংসই চ্যাম্পিয়ন। ধরে রেখেছে ফেডারেশন কাপের শিরোপা।
চাপের মধ্যেই মৌসুমের ৩ ট্রফির দুটি নিজেদের করে নিয়েছে তিতার দলটি। রোমানিয়ান কোচ তো খুশি হবেনই! মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে ‘১৫ মিনিটের ফাইনাল’ জেতার পর কিংসের খেলোয়াড়দের উৎসবে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন এই রোমানিয়ান কোচ।
মনে হয়েছে, সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন তিনি। তার কারণ অবশ্যই, লিগ শিরোপা হারানোর শঙ্কায় থাকা দলটির সামনে যে ছিল মৌসুমে দুই ট্রফি জয়ের সুযোগ।
২২ এপ্রিলের ফাইনাল স্থগিত হয়েছিল আলোকস্বল্পতায়। খেলা বাকি ছিল অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিট। একজন কম খেলোয়াড় ছিলেন তিতার। আগের মঙ্গলবার লালকার্ড দেখেছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ১০ জন নিয়ে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার পরই কিংসের খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফের সদস্যরা ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা টি-শার্ট পরে মাঠে উৎসব করেছেন।
কেমন লাগছে? ফাইনালের পর তিতাকে এমন প্রশ্ন গণমাধ্যমের। বসুন্ধরা কিংসের কোচ বলেন, ‘আমি অনেক খুশি। কারণ, এটা আমার কাজ, আমার দায়িত্ব।’
এ সপ্তাহ আগে এই মাঠে ফাইনাল হয়েছে। এই সময়ে আপনার কেমন ঘুম হয়েছিল? তিতার উত্তর, ‘আমি ঘুমাতে পারিনি। আজকের এই ম্যাচের আগে আমি মাত্র ১ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি।’
ফাইনাল হারার পর আবাহনীর কোচ মারুফুল হক বলেছেন, ‘২২ তারিখেই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াবে। কারণ, ম্যাচ তো ১৫ মিনিটের। দশজন কেন সাতজন নিয়েও প্রতিপক্ষকে আটকিয়ে রাখা সম্ভব ১৫ মিনিট। টাইব্রেকারে আমাদের হয়তো কোনো ভুল ছিল।’
আপনাদের পরিকল্পনা কী ছিল? মারুফুল হকের জবাব, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১৫ মিনিটেই গোল আদায় করা। আসলে কম সময়ে সব প্লান কার্যকর হয় না।’
আরআই/এমএমআর/এমএস