স্ত্রীসহ বাগেরহাটের ৩ বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

0
1


দুদকের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালী মধুর নামে থাকা পাঁচটি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট দুই কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান অবরুদ্ধের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডলের নামে থাকা পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে। জিএম রফিকের নামে আছে ছয়টি সঞ্চয়পত্র। তার স্ত্রী আকলিমার নামে তিনটি, দুলালী মধুর নামে দুটি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে একটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয়পত্রে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত অন্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মধু এবং দুলালী মধুর নামের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয়পত্র কেনা হয়েছে।

তারা ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনূকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এ কারণে হিসাবসমূহ জরুরিভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এমআইএন/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।