মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বৈশাখী মেলা’। সম্প্রতি কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর চাইনিজ অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশি এক্সপ্যাটস ইন মালয়েশিয়ার (বিডিএক্সপ্যাটস) উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
উৎসবে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সমবেত হন। পোশাক-আশাক, সাজসজ্জা, ভোজন-আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনে দিনটি পরিণত হয় এক খাঁটি বাঙালিয়ানার মিলনমেলায়। বাংলা সংস্কৃতির চিরন্তন ঐতিহ্যকে ধারণ করে বৈশাখী মেলাটি শুরু হয় বেলা ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আয়োজকরা জানান, প্রায় তিন হাজার বাঙালি এই মেলায় সমবেত হন। মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল বাংলাদেশের সিটি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান, সিবিএল মানি ট্রান্সফার।
মেলার প্রধান আকর্ষণসমূহের মধ্যে ছিল, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিস্কুট দৌড়, বল পাসিং, কাপল গেইমস, সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, স্মৃতিচারণসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। থাকবে র্যাফেল ড্র যেখানে বেশ কিছু কাপল রিটার্ন টিকেট (প্লেন) সহ প্রায় ৬০টি পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ।
স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও যোগ দেবেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীরা, যারা এই দিনটিকে করে তোলেন আরও রঙিন ও প্রাণবন্ত।
আয়োজকেরা জানান, অংশগ্রহণ ও আয়োজনের ব্যাপকতায় মালয়েশিয়ার বৈশাখী মেলাটি বাংলাদেশের বাইরে বর্ষবরণের অন্যতম বৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মালয়েশিয়ার মূলধারার সমাজ ও প্রশাসনও এখন গুরুত্ব সহকারে এই উৎসবকে গ্রহণ করেছে।
দিনব্যাপী এই উৎসবে ছিল দেশীয় খাবারের দোকান, যেমন পান্তা-ইলিশ, এবং নানা ধরনের দেশীয় পণ্যের স্টল, যা আকর্ষণ করে সকল বয়সের দর্শনার্থীকে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার স্থানীয় ও অন্যান্য বিদেশিরাও এই বৈশাখী মেলায় অংশ নেন বলে আশা করা হচ্ছে। মেলা বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে দলমত নির্বিশেষে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল বাঙালি-বাংলাদেশিদের বাংলা নববর্ষের এই প্রাণের উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এমআরএম/এমএস