অবশেষে সেই চেনা সৌম্যর দেখা মিললো

0
1


তার ব্যাট যেন খোলা তরবারি। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। আগের ম্যাচেই পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুুরির ‘হাফসেঞ্চুরি’। গতকাল বুধবার শেরে বাংলায় আবাহনীর বিপক্ষে বিজয়ের মাথায় আরও এক সাফল্যের মুকুট। এদিন হোম অব ক্রিকেটে আবাহনীর বিপক্ষে মৌসুমের নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই অধিনায়ক।

তবে আগের দুই সেঞ্চুরির মতো বুধবারের শতকটি কাজে দেয়নি। এদিন ১১৩ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। কিন্তু তারপরও আবাহনীর করা ২৪৯ রান টপকে জিততে পারেনি গাজী গ্রুপ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ১০ রানে জিতে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী।

এদিন আবাহনীর হয়ে রান করেছেন তরুণ ওপেনার শাহরিয়ার কোমল। পর পর কয়েকটি ম্যাচে রান না পাওয়া এ তরুণ আজ ১০০ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন। অপর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (৫২ বলে ৪৫) আর তরুণ অলরাউন্ডার মেহরুব (৪২ বলে ৪৫) দুটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস উপহার দিলে আকাশী হলুদরা ২৪৯ রানের লড়িয়ে পুঁজি পায়।

জবাবে গাজী গ্রুপ অধিনায়ক বিজয় একপ্রান্তে অনেকটা সময় লড়াই করে শতক উপহার দিলেও তার সঙ্গে আর কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারায় গাজী গ্রুপকে হারের তেঁতো স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।

এদিকে বুধবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনিংসটি খেলেন সৌম্য সরকার। পুরো লিগে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা সৌম্য বুধবার বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে যেন নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন।

এদিন বিকেএসপিতে যেন ছক্কা ও চারের বৃষ্টি বইয়ে দেন বাঁহাতি সৌম্য। ১১২ বলে করা ১৫৩ রানের ইনিংসটি ছিল ৬ ছক্কা ও ১৭ বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো। মানে ১৫৩ রানের ১০৪ রানই আসে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকে।

সঙ্গে সাইফ হাসান (৪৩), তানজিদ তামিম (৪৩) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪৯) তিনটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস যোগ হলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পায় ৩৩৩ রানের বিশাল পুঁজি। জবাবে অগ্রণী ব্যাংক ২৩০ রানে অলআউট হয়। ফলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পায় ১০৩ রানের বড় জয়।

ওদিকে বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান ৫ উইকেটে হারিয়েছে এবারের প্রিমিয়ার লিগের চমক গুলশান ক্লাবকে। দুই পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন (৩/৪২ ) ও আবু হায়দার রনির (২/৪৭) সঙ্গে দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ (২/৩৮ ) ও নাবিল সামাদের (২/৩০) সাড়াশি বোলিংয়ের মুখে মাত্র ২২৪ রানে অলআউট হয় গুলশান।

জবাবে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (১০৩ বলে ৭১) ও তাওহিদ হৃদয়ের (৮৫ বলে ৬২) জোড়া ফিফটিতে ২০ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান।

এআরবি/এমএইচ/এএসএম