সড়ক না থাকায় বাড়ি ছাড়ছে মানুষ

0
0


কুমিল্লার লাকসামে সড়ক ও কালভার্ট না থাকায় একটি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে একটি বাড়ি। যেখানে বসবাস করতে না পেরে অন্যত্র চলে গেছে চারটি পরিবার।

উপজেলার মনপাল গ্রামে গিয়ে দেখা যায় এ দুর্ভোগ। দ্রুত সড়ক সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ওই গ্রামে বসবাসকারীরা।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের মোল্লা বাড়ি ও পশ্চিম বাড়ির মাঝে খাল রয়েছে। দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছরেও সেখানে কোনো কালভার্ট হয়নি। কখনো সেখানে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। কখনো খালি পড়ে থাকে। কখনো আবার নৌকা দিয়ে খাল পার হতে হয়। স্থানটিতে ২০ ফুট কালভার্ট প্রয়োজন। এছাড়া খাল পার হলে ডান পাশে রয়েছে একটি বাড়ি। এই বাড়িতে প্রবেশের ৪০ ফুট সড়ক রয়েছে। সেটি ভেঙে একপাশ খালে অন্য পাশ পুকুরে পড়ে যায়। এতে সড়কটি অনেকটা জমির আইলের মতো হয়ে আছে।

বর্ষায় তাদের নৌকা নিয়ে বাড়িতে যেতে হয়। এই বাড়িতে একসময় জহুরুল হক, আবদুস সোবহান, মুসলিমুর রহমান, সফিকুর রহমান, ফজলের রহমান ও অজি উল্লাহর পরিবার বসবাস করতেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় গত ২০ বছরে ৪ জন বাসিন্দা নিজ বসতি ছেড়ে অন্যত্র বাড়ি করেছেন। জহুরুল হকের ঘর থাকলেও তিনি এখানে থাকেন না।

বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা ফজলে রহমান। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ভোগের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় একে একে সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি নিরুপায় হয়ে এখানে পড়ে আছেন। তিনি সড়ক সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাছ ঘেরা বাড়ি। চারটি ঘরের পরিত্যক্ত ভিটা পড়ে আছে। প্রথম দেখায় মনে হবে যেন কোনো ভুতুড়ে বাড়ি। একপাশে একটি ঘর। অথচ এই বাড়ি এক সময় মানুষের উপস্থিতিতে মুখর ছিল।

সড়ক না থাকায় বাড়ি ছাড়ছে মানুষ

স্থানীয় উত্তরদা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, মনপাল গ্রামের ওই বাড়ির সড়ক ও কালভার্ট না থাকার বিষয়টি জেনেছি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে তাদের সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে জানতে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।