চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণহানি বেড়ে চলেছে। প্রাণহানির ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় সচেতনতামূলক রোড সাইন ব্যবহার করা হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার কার্যক্রম চলমান। সড়ক পুরোপুরি ছয় লেনে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবির সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান।
এ সময় রেলওয়েকে রেল পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তা বানানো রেলের কাজ না, পানি সাপ্লাই দেওয়া রেলের কাজ না। এসবের কারণে রেল অদক্ষ হয়ে যাচ্ছে। রেলের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই যার যে কাজ তাকেই সেটা করতে হবে। পানির ব্যবস্থা ওয়াসা করবে। রাস্তা যার আওতায় থাকবে সেই করবে। রেল পরিচালনা, ইঞ্জিন মেরামত করা, বগি মেরামত করা এসব কাজে মনোযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর অবস্থা বর্তমানে নাজুক। এই হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমইউ) স্বাক্ষর করা হবে, যেন সাধারণ জনগণও এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে। রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে আরও উন্নত চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়োগ এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন ও স্টেশনের শৌচাগারগুলোর অবস্থা এবং রেলওয়ের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, নগর উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়, নাগরিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে হলে আমাদের অবশ্যই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম।
এমডিআইএইচ/ইএ