বাংলাদেশের জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমিনুল হক বলেন, আমরা আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে দেশের নতুন এবং পুরাতন ভোটার সবাই ভোট দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের সময়ে কেউ ভোট দিতে পারেনি। ওই সময়ে যারা ভোটার হয়েছিলেন, তারাও ভোট দিতে পারেননি। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, যারা ভোটার হতে এসেছেন, নতুন ইয়ং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে ভোট দেওয়ার যে আগ্রহ দেখলাম। সর্বোপরি ভোটাররা ভোট দিতে চান। তাদের যে অধিকার, সেই অধিকার তারা প্রয়োগ করতে চান।
তিনি আরও বলেন, নাগরিক হিসেবে আমাদের যে করণীয় আছে, সেদিক থেকে আমরা সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করছি। পাশাপাশি যারা ভোটার হতে এসেছেন তাদেরও আমরা সহযোগিতা করছি।
নতুন ভোটারদের প্রতি শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, ভোটার হওয়া একজন নাগরিকের অধিকার। নাগরিকের সেই অধিকার অবশ্যই তাকে প্রয়োগ করতে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের সময়ে গত ১৫ বছরে তারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে নিজেরা নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় মসনদে বসে ছিল। কারণ তাদের এ দেশের জনগণের ভোটের দরকার ছিল না। জনগণকে তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আশা করছি আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোটার হয়েছেন, তারা সবাই তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর/এএসএম