মার্কিন প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক আরোপ করলে, কানাডাও ১৫০ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৫ হাজার কোটি কানাডিয়ান ডলার মূল্যের মার্কিন আমদানির ওপর পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। (১ ডলার = ১.৪৩৩০ কানাডিয়ান ডলার। আর ১ কানাডিয়ান ডলার = প্রায় ৮৫ টাকা)
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা সরকার মার্কিন পণ্যের বিশদ তালিকা প্রস্তুত করেছে। তবে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে জনসাধারণের পরামর্শ নেবে। তবে কানাডার প্রতিক্রিয়া কতটা হবে, তা নির্ভর করবে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের ওপর।
এ বিষয়ে দেশটির এক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে তারা ট্রাম্পের কাছে একটি রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছাতে চাচ্ছেন। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, বিভিন্ন আসবাবপত্র, সিরামিক ও স্টিল পণ্য, কমলার রস এবং পোষা প্রাণীর খাবার।
এদিকে, কানাডার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই পরিস্থিতি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান। কানাডাকে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে ও অবৈধ অভিবাসীসহ ফেন্টানিল পাচার নিয়ন্ত্রণে চাপ দিতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এটিকে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ধরনের শুল্ক কানাডার জন্য মারাত্মক হতে পারে, কারণ কানাডা তার মোট রপ্তানির ৭৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়। এমন পরিস্থিতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও দেশটির ১০ প্রদেশের প্রিমিয়াররা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
রয়টার্সের সূত্রটি জানিয়েছে, কানাডা তিনটি ধাপে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রথম ধাপে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ফ্লোরিডা থেকে আমদানি করা কমলার রসসহ একটি ছোট তালিকার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রুডো বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন যদি শুল্ক আরোপ করতে থাকে, তাহলে কোনো কিছুই আলোচনার বাইরে থাকবে না। আমি ডলার-ফর-ডলার নীতি সমর্থন করি।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ