নেপথ্যে জামিনে থাকা দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর আধিপত্য-চাঁদাবাজি

0
0


গত ১০ জানুয়ারি রাতে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে প্রকাশ্যে কোপানো হয় দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে। ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত মুখ ঢেকে, হেলমেট পরে চালায় এ হামলা। পরে ভাইরাল হয় চাপাতি দিয়ে কোপানোর একটি ভিডিও। ঘটনার পর সামনে এসেছে ৫ আগস্ট পরবর্তীসময়ে জামিনে ছাড়া পাওয়া অপরাধ জগতের শীর্ষ দুই মাফিয়ার নাম।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এ হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে হাজারীবাগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির দ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে জামিনে বের হন এই দুই সন্ত্রাসী। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তারা নিয়ন্ত্রণ করতেন অপরাধ জগৎ।

যেভাবে হামলার শিকার হন দুই ব্যবসায়ী
গত ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যেই ২০/২৫ জন দুর্বৃত্তের এক থেকে দেড় মিনিটের অতর্কিত হামলার শিকার হন এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহেদুল হাসান দীপু এবং ইপিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান) যুগ্ম সদস্য সচিব এহতেশামুল হক। এ ঘটনার একটি ১০-১২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে চাপাতি দিয়ে কোপানোর নৃশংসতা দেখা গেছে।

হাত ও পায়ে মারাত্মক জখম নিয়ে এহতেশাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। আর হাতে জখম নিয়ে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেয়ে ১১ জানুয়ারি রাতে নিউ মার্কেট থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী দীপু। ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী দীপু মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের বড় ভাই।

দায়ের করা মামলায় তিনি চাঁদাবাজির জেরে হামলায় জড়িত হিসেবে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০/২৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করেন। মামলায় প্রধান আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ওরফে ইমন (৫২)।


হামলার শিকার দুই ব্যবসায়ী ওয়াহেদুল হাসান দীপু ও এহতেশামুল হক

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মুন্না (৪৭), আসিফ ঝন্টু (২৮), একেএম চঞ্চল (৪৩), শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী খোকন (৪০), সাইদ আসাদ (৪১), জসিম ওরফে কলা জসিম (৩৫), তুষার ওরফে কিলার তুষার (৩৫), তৌফিক এহসান (৬৩) ও মো. জাহিদ (৪৪)।

দুই আসামি গ্রেফতার, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
এ ঘটনায় মামলার ৩ নম্বর আসামি আসিফুল হক আসিফ ওরফে ঝন্টু (৩২) ও কাউসার মৃধা (২৪) নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আসিফ শরীয়তপুর ডামুড্যা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হক আকনের ছেলে। পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের কিসমত শ্রীনগরের মোহাম্মদ হালিম মৃধার ছেলে কাউসার মৃধা।

নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় এজাহারে বলা হয়, ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব পরবর্তীসময়ে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে দলবদ্ধ হয়ে মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনসহ অন্য আসামিরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন।

মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে
আসামিদের চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বাদী ও অপর ভুক্তভোগী এহতেশামুল হকসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী আইনি সহযোগিতা গ্রহণসহ ব্যবসায়ী ও ছাত্রজনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে অভিযুক্ত আসামিদের চাঁদাবাজি ব্যাহত হয়। মূলত এ কারণেই ভুক্তভোগী এহতেশামুল হকসহ রোষানলে পড়তে হয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ১০ জানুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে নিউমার্কেট থানাধীন নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) পশ্চিম দিকে রাস্তার ওপর ধারালো ছোরা, চাপাতিসহ দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।

এহতেশামুল গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে আসতে থাকলে আসামিদের কয়জন গ্রাউন্ড ফ্লোরের গেটের ভেতরে ঢুকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। কোপের আঘাতে তার গাড়ির কাচসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগৃস্ত হয়। আসামিদের এলোপাতাড়ি চাপাতির কোপে তার সোলজার জয়েন্ট, ডান হাতের কনুই, ডান পায়ের হাঁটু, বাম পায়ের পাতাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনতা এগিয়ে এলে আসামিরা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

৫ আগস্টের পর মুক্তি পান শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল-ইমন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পলায়নে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপরই আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অন্তত ছয়জন জামিনে মুক্তি পান। তাদের বেশির ভাগই এক থেকে দেড় যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত ১৫ আগস্ট মুক্তি পান আওয়ামী লীগ সরকারের পুরস্কার ঘোষিত ২৩ সন্ত্রাসীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। ১৬ আগস্ট রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-৪ থেকে জামিনে মুক্তি পান শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকার অন্যতম ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। কারামুক্তির পর এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে লিপ্ত।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারি গ্রেফতার হন তৎকালীন ছাত্রদলের নেতা পিচ্চি হেলাল। দীর্ঘ ২৪ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পাওয়া শীর্ষ এ সন্ত্রাসীর বড় ভাই ওয়াহিদুল হাসান দীপু। যিনি গত ১০ জানুয়ারি আকস্মিক হামলার শিকার দুই ভুক্তভোগীর একজন।

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ‘কিলার আব্বাস’ হিসেবে পরিচিত মিরপুরের আব্বাস আলী, তেজগাঁওয়ের শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসুও কারাগার থেকে মুক্তি পান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইমামুল হাসান হেলাল ছিলেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি ঘোষিত সব কর্মসূচি হেলালের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর এলাকায় সম্পন্ন হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রকাশিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় ওঠে পিচ্চি হেলালের নাম। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।

অপরাধের সাম্রাজ্য ফিরে পেতে মহড়া
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম পিচ্চি হেলাল ও ইমন। তাদের সংস্পর্শে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে এসেছেন। অপরাধের পুরোনো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেওয়ার পাশাপাশি চাঁদা চেয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

দুই ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টা, নেপথ্যে জামিনে থাকা দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর আধিপত্য-চাঁদাবাজি
গ্রেফতার দুই আসামি

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের তৎপরতা দৃশ্যমান। গত ২০ সেপ্টেম্বর রায়েরবাজারে সাদেক খান আড়তের সামনে জোড়া খুন হয়। ওই দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার দখল নিতে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের বিরোধ থেকে জোড়া খুনের ওই ঘটনা ঘটে। তবে ওই ঘটনার পর চার মাসেও পিচ্চি হেলালকে গ্রেফতার করা যায়নি।

মার্কেটের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব ও চাঁদাবাজির অভিযোগ
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মোহাম্মদপুরে খুনের ঘটনায় পিচ্চি হেলাল গ্রেফতার না হলেও দু-তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপরও পুলিশের নজরদারি রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী হোক বা যেই হোক, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে মার্কেটের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব ও চাঁদাবাজির অভিযোগ বলে জেনেছি। কিন্তু মামলায় আবার আসামি করা হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনকে। বাদী আবার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের বড় ভাই।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কঠোর অবস্থানে সরকার
রোববার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং চাঁজাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগতভাবে উন্নতি ঘটেছে। এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় চাঁদাবাজির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের কমিটির নির্বাচন কেন্দ্র করে হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

তিনি বলেন, ‘একমাস আগে ওই মার্কেটে একটি নির্বাচন হয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একটি বিরোধ তাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। আমাদের ধারণা এই নির্বাচনের কারণে ঘটনা ঘটতে পারে অথবা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। তবে আসামিদের না ধরা পর্যন্ত মূল বিষয়টা আমরা এখনই বলতে পারবো না।’

জানতে চাইলে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহসীন উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় গতরাতেই থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত তিন নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন এক আসামিকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

ওসি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছি। ফুটেজ ফরেনসিক করে আসামি প্রত্যেককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

মামলার প্রধান আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত টিম কাজ করছে। পাশাপাশি ডিবিও কাজ করছে। আশা করছি খুব শিগগির ধরা সম্ভব হবে।’

এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্তের কাজ চলমান। আশা করি সব আসামিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।’

টিটি/এএসএ/জেআইএম