বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দুই চিকিৎসকসহ ১৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই চিকিৎসকসহ ১৫ জনকে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ২ এর (ছ), (জ), (ঝ) ও (৮) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো।
বরখাস্ত হওয়া দুই চিকিৎসক হলেন- কাডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ।
বরখাস্ত হওয়া বাকি হলেন- পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায় ও মো. সাইফুল ইসলাম। এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল), সুইপার সন্দীপ, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জ্বল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, ওপিডি-১ এর এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) কালীন সময়ে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বিধি মোতাবেক তাদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে। এ আদেশ ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এএএম/এমএএইচ/