অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, জনসমস্যা নিরসনে অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন। জাতীয় ঐক্যে বিভাজন সৃষ্টি করে জনমনে হতাশা তৈরি করা হচ্ছে সুকৌশলে। এতে পতিত ফ্যাসিস্ট এবং আধিপত্যবাদী শক্তি লাভবান হবে, ভূলুণ্ঠিত হবে জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই বাজারে কৃষকদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পর জাতি যখন প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে- তখন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শক্তির মধ্যে বিভেদ, দ্বন্দ্ব ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে জনগণ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার লোভে নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতাবান হওয়ার অভিপ্রায়ে আন্দোলনের একটি শক্তি হঠাৎ নিজেদের মতবাদ দেশবাসীর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে জনগণ বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছে- রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন দল গঠনের কারণে সংস্কারের নামে নির্বাচন প্রলম্বিত করে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জনকল্যাণমূলক কাজ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারের মাসিক খরচে সহায়তা, পল্লি রেশনিং, কৃষি ভর্তুকি প্রদান, শস্য বিমা, পশু বিমা, মৎস্য বিমা এবং পোল্ট্রি বিমা চালু করা হবে। একই সঙ্গে বেকার যুবকদের জন্য ভাতা প্রদান এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের সব এলাকায় শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানসহ জনকল্যাণে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কাজ করা হবে।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, আলী আশরাফ, আলমগীর আলম বিপ্লব, উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ খান, তারিকুল ইসলাম চঞ্চল প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স হালুয়াঘাট উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ মাঠে সুবিধাবঞ্চিত ৯ শতাধিক অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
কামরুজ্জামান মিন্টু/কেএসআর
