‘আমাদের দেশের সংখ্যালঘু ভাইয়েরা নিরাপদে আছেন এবং আরও নিরাপদ থাকবেন। তাদের নিরাপদ রাখার জন্য সরকার যেমন কাজ করছে, ধর্মীয় নেতারাও কাজ করছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি ঐক্যবদ্ধ থাকবো।’ বলেছেন জনপ্রিয় আলেম ও আলোচক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের বৈঠকে অংশগ্রহণের পর এ সব কথা বলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ এখানে এসেছেন। অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের অবস্থা ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় আছে। সেটা কীভাবে ধরে রাখা যায় সেজন্য সবাই মন খুলে কথা বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথাগুলো শুনেছেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া আইনজীবী আলিফের হত্যাকাণ্ড এবং কিছুদিন আগে ফরিদপুরে দুই জন নির্মাণশ্রমিকের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এ সব নৃশংস ও উস্কানিমূলক ঘটনার পর গোটা দেশের মুসলমান অত্যন্ত ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছি, ঠিক তেমনি এটি ধরে রাখবার সংগ্রামও চালিয়ে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ, বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেক, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার এবং হেফাজতে ইসলামের সাজেদুল হক, রমনা হরিচাঁদ মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, রমনা সেন্ট ম্যারিজ ক্যাথেড্রালের প্রধান পুরোহিত অলভার্ট রোজারিও এবং গারো পুরোহিত জনসন মুরি কামাল প্রমুখ।
ওএফএফ/এমএস