অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন বাবুল আক্তার

0
1


চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার অবশেষে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর তিনি একটি প্রাইভেটকারে কারাগার থেকে বের হয়ে যান। তবে কারাফটকে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি।

এর আগে বুধবার সকালে তাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত।

বাবুল আকতারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন বিচারিক আদালত থেকে জামিন পাননি বাবুল আক্তার। গত ২৭ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই জামিন আদেশ এবং আদালতের জামিন পরোয়ানা কারাগারে পাঠানোর পরও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আজ চেম্বার জজ আদালত বাদীর আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্টের জামিন আবেদন বহাল রাখেন।

গত ২৭ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাবুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

জামিন পেলেও গত বৃহস্পতিবার বাবুল আক্তারের জামিননামা স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তার শ্বশুর ও মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন। শুনানি শেষে গতকাল (মঙ্গলবার) আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হলেও আদেশের তারিখ পিছিয়ে যায়। বুধবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত তার জামিন বহালের আদেশ দেন।

এর আগে ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেন বাবুল আক্তার। ১৮ আগস্ট বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারক। পরে আসামিপক্ষ জজ কোর্টের আদেশ রিভিশন করে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে। গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাবুল আক্তারের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

২০২৩ সালের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত। আসামিরা হলেন, বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে দুই হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই বছরের ১০ অক্টোবর এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন তার স্বামী বাবুল আক্তার। তদন্তের পর আসামি হন তিনি।

এমডিআইএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।