জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়েছে। স্থানীয় হলে একটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জার্মানির শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জার্মান বিএনপিসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিতি ছিলেন।
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও জার্মান বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জার্মান বিএনপির সহ-সভাপতি অপু চৌধুরী, সহ-সভাপতি সাইফুল মজুমদার, জার্মান বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর আলম বাবলি, জার্মান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরীয়ত খান মিঠু, আবিরুল ইসলাম ইমন, আব্দুল কাদিরসহ অনেক।
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- জার্মান যুবদলের নেতা আনহার মিয়া, আব্দুল হান্নান রুহেল, একরাম, রেদওয়ান, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিকুল ইসলাম সাগর, শোয়েব, সাঈদ, শাফায়াত হোসেন সাব্বির, রফিকুল ইসলাম, সাগর আহমদ, আবু তাহের প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে সিভিল ও মিলিটারি উভয় সেক্টরে যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল তখনো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শহীদ জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সিপাহি ও জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের নেতৃত্ব দেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন ও ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরা আজও সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। বক্তারা বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের আলোকে সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রবাসীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভার শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এমআরএম/এএসএম
স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা
পাঠানোর ঠিকানা –
[email protected]