অনলাইন ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন ও আয়কর বিষয়ক অন্যান্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়কর রিটার্ন বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে দু’দিনব্যাপী আয়কর সেবা বুথ উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই আয়কর সেবা বুথ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রধান অতিথি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আন্তর্জাতিক কর) মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা কর অঞ্চল-১১ এর কর কমিশনার শারমিন ফেরদৌসী এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে কর প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিসহ সব পর্যায়ে আয়কর প্রদানের হার বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পেপারলেস ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশে এখন অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা সহজীকরণ করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদেরও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে অভ্যস্ত হতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সামাজিক বৈষম্য নিরসনে ‘প্রত্যক্ষ কর’ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই কর প্রদানের হার বাড়লে সমাজে ধনী-গরিব বৈষম্য কমবে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- আন্দোলনের চেতনার সঙ্গেও এটি সঙ্গতিপূর্ণ। করদাতারা এখন ঘরে বসে অনলাইনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সহজেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এমএইচএ/এসআইটি/এমএস