কুড়িগ্রামে কুয়াশা ও ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে। মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এ সময় বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে কুয়াশা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা থাকায় যানবাহনগুলো দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বলিয়ে সড়কে চলাচল করছে। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডার তীব্রতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছে না অনেকে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের মোস্তফা বলেন, কয়েকদিন থেকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে। এখনই যে কুয়াশা দেখছি, আরওতো দিন আছে।
দিনমজুর আসতাব আলী বলেন, গতকালের চেয়ে আজ একটু কুয়াশা কম। তারপরও সকালে কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। আমরা যারা দিন এনে দিন খাই, তাদের খুব সমস্যা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ -২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। তবে নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জেআইএম