চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সরকারি গাছ কেটে পাচারের অভিযোগে তিনজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বনবিভাগ। আসামিদের মধ্যে স্থানীয় একজন যুবদল নেতা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলার বিষয়টি শনিবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ।
তিনি বলেন, বাঁশখালী পৌরসভার আদর্শ গ্রাম এলাকা থেকে ৮টি সরকারি গর্জন গাছ পাচারকালে জব্দ করা হয়। এতে ৮০ বর্গফুট গাছ রয়েছে। সরকারি গাছ পাচারের ঘটনায় তিনজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। রোববার বন আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আদর্শ গ্রাম এলাকায় সরকারি গাছ জব্দের ঘটনায় পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আবু বক্কর, মোস্তফা ও কায়সার নামে তিনজনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আবু বক্কর বাঁশখালী পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় থেকে সরকারি বনের গাছ কেটে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। এরই মধ্যে শতাধিক গাছ কেটে পাচার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি গাছ কেটে পাচারের সময় আদর্শ গ্রাম এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় বন বিভাগ আটটি গর্জন গাছ জব্দ করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
বাঁশখালী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক তমিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আবু বক্কর আমাদের কমিটির যুগ্ম আহ্বয়ক। সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনো মামলার কপি পাইনি। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নিক। সত্যতা পেলে আমরাও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেবো।
দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর জাগো নিউজকে বলেন, বাঁশখালীতে সরকারি গাছ কেটে পাচারের ঘটনাটির বিষয়ে আমরা এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দলের নাম-পদবি ব্যবহার করে অন্যায় করার সুযোগ নেই।
তবে সরকারি গাছ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার সন্ধ্যায় আবু বক্কর জাগো নিউজকে বলেন, বাঁশখালী আদর্শ গ্রাম এলাকায় সরকারি গাছ কাটা কিংবা মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এগুলোতে আমি জড়িত নই।
এমডিআইএইচ/এমকেআর