ভাড়া হয়ে গেছে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। সেখানে গড়ে উঠছে একটি মোবাইলের শোরুম। শহরের শহীদ রফিক সড়কে টিনশেড ঘরটি ভেঙে সাড়ে ৮০০ ফুটের একটি দোকান নির্মাণ করেছেন মালিকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের পর দোকানে পাশে ঝুলছে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা আছে, ‘অফিস/গোডাউন শোরুম ভাড়া দেওয়া হবে’। দোকানটিতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছেন দুজন শ্রমিক। এটা মোবাইলের শোরুম হবে তারা জানান।
জায়গার মালিক দাবি করে শাহ্ আব্দুল রাজ্জাক টিপু জাগো নিউজকে বলেন, জায়গাটি আমার দাদা কলিমউদ্দিন আহমেদের। ১৯৭৬ সালে আমাদের কাছে থেকে মাসে ৬০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। প্রথম দুই-চার মাস ভাড়া দিয়েছেন তিনি। তারপর আর ভাড়া দেননি। তিন বছর আগে আমি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটা দরখাস্ত দিয়েছিলাম। এটা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ছালামও জানতেন।
পরে ঢাকা থেকে একটা বার্তা আসে অন্য জায়গা দেখে সেখানে অফিস করার। তখন মহিউদ্দিন ভাই বলছিলেন আমাদের একটু সময় দিলে ব্যবস্থা করবো। সরকার পতনের পর ছাত্ররা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টা ভেঙে দিলে আমরা বাপ-দাদার সম্পত্তি ফিরে পাই।
শহরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন, এখানে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ছিল। এ অফিসে নানা অনুষ্ঠানের কারণে সড়কে সবসময় যানজট লেগে থাকতো। এখন দেখছি এখানে একটি দোকান হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ্ কবীর বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ব্যক্তি মালিকানা ছিল। জোরপূর্বক দীর্ঘদিন দখল করে ভোগ করেছেন তারা। তাদের পতনের পর জায়গার প্রকৃত মালিকরা ফিরে পেয়েছেন।
আরএইচ/জিকেএস