যশোরে দু’দিনের ব্যবধানে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী মাসুদ রানা (২২)। স্বামীর মৃত্যুর পর দু’দিন পর রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে যশোরে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী জলি আক্তার ঐশী (৩০)।
সোমবার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। দু’দিনের ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাসুদ রানা যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের বীরনারায়নপুর গ্রামের আসাদ হোসেনের ছেলে এবং জলি আক্তার ঐশী শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বেলতলা এলাকার মৃত মোস্তফা দেওয়ানের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ রানা ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পাশাপাশি তিনি একজন টিকটকার। টিকটকের মাধ্যমেই তার সঙ্গে জলি আক্তার ঐশীর পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে এক সময় প্রেম-পরিণয়। গত বছর নভেম্বর মাসে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিভেদ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার দিনগত রাতে স্ত্রী ঐশীর সঙ্গে রানার ফোনে ঝগড়া হয়। অভিমান করে ওইরাতে মাসুদ ঢাকার বাসায় ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। শনিবার যশোরে মাসুদ রানার দাফন সম্পন্ন হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর দু’দিন ধরে হতাশায় ভুগে রোববার রাতে ফাঁস দেন স্ত্রী জলি আক্তার ঐশী। সোমবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, মাসুদ রানার সঙ্গে বিয়ের আগে ঐশীর আরও এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
মাসুদ রানার চাচা হাসান আলী বলেন, বিয়ের পর আমরা জানতে পারি ঐশীর আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার ১৩-১৪ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তাছাড়া সে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে ছিল। তারপরও আমার ভাইপো এবং বউমাকে মেনে নিয়েছি। কিন্তু বউমা আবার বিদেশে যেতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এসব বিষয়ে অভিমান করে ছেলে শুক্রবার দিনগত রাতে ঢাকার মিরপুরের বাসায় আত্মহত্যা করে। আমরা ঢাকায় বসে জানতে পারি বউমা বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে স্বামী-স্ত্রী দুজনই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম