নিজের ১১ স্বর্ণের রেকর্ড ভাঙা হলো না সোনিয়া আক্তার টুম্পার

0
2


১৩ বছর আগে জাতীয় সাঁতারে অংশ নিয়ে ১১টি স্বর্ণ জিতেছিলেন সোনিয়া আক্তার টুম্পা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই নারী সাঁতারু এবার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন ১২ ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবগুলো স্বর্ণ জিতে টপকে যাবেন নিজেকেই।

প্রথম দুই দিনে পাঁচ ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবগুলো স্বর্ণ জিতে স্বপ্নপূরণের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতির এই সাঁতারু। তবে তৃতীয় দিনে চার ইভেন্টে অংশ নিয়ে একটিতে দ্বিতীয় হওয়ায় ১২ স্বর্ণ জেতার আর কোনো সুযোগ থাকলো না টুম্পার। শেষ দিনে ৩ ইভেন্টে সেরা হতে পারলে ২০১১ সালের সমান ১১ স্বর্ণ যোগ হবে তার সাফল্যের ঝুলিতে।

সোমাবর তৃতীয় দিনের সাঁতার শেষ করে সোনিয়া আক্তার টুম্পা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ১২ ইভেন্টে এবার অংশ নিচ্ছি। আগে ১১ ও ১০টি করে স্বর্ণ জিতেছি। এবার সবগুলোতে স্বর্ণ জেতার প্রত্যাশা করেছিলাম। ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে আজ (সোমবার) স্বর্ণ জিতে পারিনি, পেয়েছি রৌপ্য। শেষ দিনে ৩ ইভেন্ট আছে। চেষ্টা করবো সবগুলো জেতার। তাহলে ২০১১ সালের পর আবার ১১ স্বর্ণ জেতা হবে আমার।’

সোনিয়া আক্তার প্রথম দিনে স্বর্ণ জিতেছিলেন ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ২০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে। দ্বিতীয় দিন জিতেছিলেন ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ও ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। তৃতীয় দিনে সোমবার জিতেছেন ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে। মঙ্গলবার শেষ দিনে সোনিয়া পুলে নামবেন ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে, ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ও ১০০ মিটার মিডলে রিলেতে।

সোনিয়া আক্তার টুম্পার জীবনের জুটি বেঁধেছেন আরেক কৃতি সাঁতারু আসিফ রেজার সঙ্গে। বিকেএসপির সাবেক (বর্তমান নৌবাহিনী) এই সাঁতারু তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন। তৃতীয় দিনে আসিফ রেজা স্বর্ণ জিতেছেন ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে।

জাতীয় সাঁতারের প্রথম তিনদিনে হওয়া ৩২ ইভেন্টের মধ্যে ২৪ স্বর্ণ, ১৯ রৌপ্য ও ৯ ব্রোঞ্জ নিয়ে পদক তালিকার শীর্ষে আছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ৮ স্বর্ণ, ১৩ রৌপ্য ও ১৮ রৌপ্য নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিকেএসপি পেয়েছে ৫ ব্রোঞ্জ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ১ ব্রোঞ্জ।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।