আওয়ামী লীগকে আত্মশুদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ পরামর্শ দেন।
রাব্বানী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে এটা নিশ্চিতভাবেই উপলব্ধি করতে হবে, উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও ভালো কাজের পাশাপাশি দীর্ঘদিন সরকারি ক্ষমতার বলয়ে থেকে তাদের শরীরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হ্রাস, জন ও কর্মীবিচ্ছিন্নতার বিষফোঁড়া ও ক্ষত দৃশ্যমান। আওয়ামী লীগকে এককালে মন থেকে ভালোবেসে সমর্থন করা মানুষও তাই সংক্রমণ শঙ্কায় কাছে ঘেঁষতে ক্ষাণিক নিরুৎসাহিত ও দ্বিধান্বিত!’
‘এই মানুষগুলোই যখন দেখবে, আওয়ামী লীগ আত্মোপলব্ধি করে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে শরীরের সেই বিষফোঁড়া আর ক্ষতগুলো একে একে চিহ্নিত করে প্রতিনিয়ত ড্রেসিং করছে, কার্যকর মেডসিন প্রয়োগ করছে, নিয়মিত যত্ন নিচ্ছে এবং ধীরে ধীরে ক্ষত সেরে উঠছে, তখন তারাই ফের সাহস করে উৎসাহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে আবার কাছে আসবে, পাশে থাকবে এবং প্রতিনিয়ত পাল্লা ভারী হবে!’
এই সাবেক ছাত্র নেতা লিখেছেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, আত্মশুদ্ধির কাজে কোনো নেতা নেই, নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। নিজের বিবেকই নেতা, বিবেকের তাড়নাতেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সম্মিলিতভাবে দলের ভেতরে থাকা দুর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী ও অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে, জন ও কর্মীবিচ্ছিন্ন নেতৃত্বকে অবশ্যই ‘আলবিদা’ জানাতে হবে।’’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘নিজেদের ভুলগুলো অনুধাবন, অনুশোচনা ও পর্যায়ক্রমে তা শুদ্ধ করার প্রচেষ্টা দৃশ্যমান না হলে কেবল বিরোধী গোষ্ঠীর শত-সহস্র অন্যায়, ভুল, ব্যর্থতার গল্প বলে, কেবল তুলনামূলক মন্দের ভালো হয়ে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে না, প্রত্যাশিত জনসমর্থন মিলবে না, তৃণমূল নেতাকর্মীর মনোবল ফিরবে না, জাগরণ ঘটবে না।’
‘যদি এখনো না বোঝেন, সমস্যা কোথায় বা জেনে-বুঝেও সমাধানের চেষ্টা না করে সজ্ঞানে এড়িয়ে যান, তাহলে প্রত্যাশিত সমাধান সুদূর পরাহত!’
এসইউজে/ইএ/জেআইএম