আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন অন্য দেশে (ভারতে) বসে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র হত্যা করেছে। রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য কত নির্মম ছিল এরা। আল্লাহর গজব এদের ওপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি বাঁচতে চান।
‘আসেন না বাংলাদেশে, এত বড় বড় কথা বলেন…বাংলাদেশে আসেন। এখন জিয়াউর রহমান নাই, তার দল বিএনপি এখনো আছে। আর বাংলাদেশের জাতীয়বাদ আছে। আমরা সবাই মিলে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো।’
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর আমাদের জন্য কঠিন সময় গিয়েছে। বাংলাদেশে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছি। কিন্তু এরা যে কত নিষ্ঠুর নির্মম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের আসল রূপটি প্রকাশ পেয়েছে। তবে বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো কঠিন আন্দোলনে লিপ্ত ছিল।
আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়নি মন্তব্য করে মেজর হাফিজ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এক বিরল ব্যক্তিত্ব, কিংবদন্তির নাম। বাঙালির সংকটের সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান। কিন্তু এই দুঃসময়ে যিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলেছেন, সৈনিকদের আহ্বান জানিয়েছেন, ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছেন, সেই মহান নেতা জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা কখনোই আওয়ামী লীগ দেয়নি। তারা সেই আগের বর্ণিত স্বাধিকার আন্দোলন স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকেই স্বাধীনতার আন্দোলন বলে চালিয়ে দিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানকে ‘ক্যান্টনমেন্টের নেতা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু তিনি মনেপ্রাণে ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক। তিনি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন এই দেশের।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জিয়াউর রহমান তার জীবন দিয়ে, জীবনাচরণ দিয়ে, প্রমাণ করেছেন একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্র কেমন হওয়া উচিত। তিনি এমনই মুক্তিযোদ্ধা যিনি ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করার পর দেখা গেল তার এক ইঞ্চি জমি নেই, ব্যাংকে কোন টাকা নেই। এ ধরনের সৎ নির্লোভ রাষ্ট্রনায়ক আর কোথায় পাবে বাংলাদেশ।
জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার ও জিয়া পরিষদের মহাসচিব ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ।
কেএইচ/এমকেআর