ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করে আরও বলেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।
আরও পড়ুন
তারেক রহমান বলেন, ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আগের রাতের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদ নূর হোসেনকে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর’ আখ্যা দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের শান্তি কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন। তার বুকে পিঠে লিখা ছিল- ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। তার সে অবদান বৃথা যায়নি। তাকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নূর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
কেএইচ/এমকেআর