বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁতারু রোমান আক্তার দীর্ঘ চার বছর পর পুলে নেমেই ঝড় তুলেছেন। ৩৩তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রেকর্ড গড়ে জিতেছেন স্বর্ণপদক।
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে শনিবার শুরু হয়েছে জাতীয় সাঁতার। প্রথমদিনে সব মিলিয়ে হয়েছে ৪টি নতুন জাতীয় রেকর্ড। তবে দিনের শেষে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই সাঁতারু।
রোমানা প্রায় ৪ বছর পুল থেকে বিচ্ছিন্নই ছিলেন কিশোরগঞ্জের নিকলীর সাঁতারু। সেনাবাহিনীর চাকরির সুবাদে জাতিসংঘ মিশনে সুদানে গিয়েছিলেন রোমানা। সেখানে জাতিসংঘের নির্দিষ্ট কার্যক্রমে অংশ নিতেন একজন সৈনিক হিসেবে।
পানিতে নামার সুযোগ ছিল না। অনুশীলনও করতে পারতেন না। দেড় বছর মিশন শেষ করে দেশে ফেরেন গত বছর সেপ্টেম্বরে। এরপর প্রথম জাতীয় সাঁতারে অংশ নিয়েই করলেন বাজিমাত।
রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতে খুশি রোমানা। বলেছেন, ‘সুদানে জাতিসংঘ মিশন থেকে ফিরে এটাই আমার প্রথম প্রতিযোগিতা। এতটা বিরতির পরও যে পারফরম্যান্স ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, এজন্য খুব ভালো লাগছে। সুদানে ট্রেনিংয়ে থাকতে পারতাম না। সাঁতার থেকে পুরোপুরি দূরে ছিলাম বলা যায়। কারণ শুধু ইউএন (জাতিসংঘ) এর যে সব কার্যক্রম ছিল সেগুলো করতাম। তবে আমাদের সেনাবাহিনীর যে ফিজিকাল ট্রেনিং, সকালের পিটি, দৌড়, জগিং, হালকা স্ট্রেচিং- এগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। সুইমিং আমার ভালোবাসার জায়গা। তখন আসলে সাঁতার মিস করতাম খুব।’
২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত বয়সভিত্তিক ও জাতীয় সাঁতারে অংশ নেয়া রোমানা দীর্ঘ বিরতির পর পুলে নেমে ১: ১৮.২৭ মিনিট সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন। ২০২১ সালে এই ইভেন্টে মরিয়ম খাতুন রেকর্ড গড়েছিলেন ১:১৯.০০ মিনিট সময় নিয়ে।
রোমানাকে ২০০৮ সালে নিকলি থেকে তুলে আনেন কোচ আব্দুল হাশেম। এরপর বিকেএসপিতে ভর্তি হন তিনি। সাঁতারের সুবাদে ২০১৪ সালে প্রথম সেনাবাহিনীতে স্থায়ী চাকরি হয়। তার সেরা সাফল্য ২০১৬ সালে; ৫টি স্বর্ণ জিতেছিলেন সেবার।
আরআই/আইএইচএস/