সেতুর মাঝখানে ভেঙে গিয়ে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

0
2


ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন কুমার নদের ওপর পুরোনো বেইলি সেতুর মাঝখানে লোহার অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির দুপাশে বাঁশ বেঁধে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিলেও ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

এর আগে সেতুটির পাটাতন ভেঙে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটার পর চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ত ম মাসুদ পারভেজ তার নিজ খরচে আংশিকভাবে মেরামত করে দেন। গত সাত দিন ধরে সেতুর মাঝখানের নিচের অংশে ভেঙে যাওয়ায় এর ওপর দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে মধুখালী ও তৎকালীন বোয়ালমারী উপজেলাবাসীদের চলাচলের জন্য কুমার নদের ওপর লোহার কাঠামোর সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বর্তমান এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ২০-৩০ টনের বেশি মালামাল বহনকারী ট্রাক চলাচল ক মাঝখানের লোহার অংশ ভেঙে যায়। এরপরই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পল্লি চিকিৎসক ফারুক হোসেন বলেন, গত সাত দিন ধরে সেতুটির মাঝখানের অংশ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এতে দুই উপজেলার আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

সেতুর মাঝখানে ভেঙে গিয়ে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

এ বিষয়ে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত.ম মাসুদ পারভেজ বলেন, এর আগে সেতুটির পাটাতন ফাঁক হয়ে দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। পরে আমি নিজ খরচে তা মেরামত করে দিয়েছি। সাত দিন আগে সেতুর মাঝখানের অংশ ভেঙে গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খান বলেন, সেতুটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।