সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এ বেস্ট ইন্সপায়ারিং অ্যাক্টর হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন প্রার্থনা ফারদীন দীঘি। সপ্তাহের শুরুতে এই পুরস্কার ও শেষে মুক্তি পেল দীঘি অভিনীত সিনেমা। সেই সূত্র ধরে আবারও উঠে এসেছে দীঘির বন্ধু তৌহিদ আফ্রিদির নাম। সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রশ্নে সাবলীল জবাবও দিয়েছেন দীঘি।
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে দীঘির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন আছে। সামাজিক গণমাধ্যমে জনপ্রিয়তা থাকলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নীরব আফ্রিদি। এমনকি তার নামে হয়েছে হত্যা মামলাও। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা ওই হত্যা মামলায় আফ্রিদি এজাহারনামীয় ১১ নম্বর আসামি। অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, আফ্রিদির সঙ্গে কি দীঘির এখনও সম্পর্ক বা যোগাযোগ আছে? কেমন বন্ধু তারা?
তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দীঘি বলেন, ‘বন্ধুত্ব একটা সময় থাকবে আর অন্য সময় থাকবে না, বিষয়টা তেমন না। সে আমার ভালো বন্ধু, এখনো। বন্ধুত্বের কোনো সময় থাকে না। সে সব সময় আমার একজন ভালো বন্ধু। আমাদের মিডিয়ায় বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক বেশি কথা হয়। অনেক মনগড়া কথাও শুনতে হয়। আফ্রিদি আমার ভালো বন্ধু ছিল, আছে, থাকবে।’
‘বেস্ট ইন্সপায়ারিং অ্যাক্টর’ পুরস্কার প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ‘আমি জানি না, সবাইকে কতটা অনুপ্রাণিত করতে পারি। তারপরও আমার কাজ দিয়ে চেষ্টা থাকে। তবে আসলে পুরস্কারটা আমার কাছে অনুপ্রেরণার। পুরস্কার পেতে ভালো লাগে। প্রতিটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যখন আমার নাম ঘোষণা করা হয়, তখন খুব ভালো লাগে।’ তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কীভাবে গ্রহণ করেন? জানতে চাইলে দীঘি বলেন, ‘তারকাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। আমি এসব গায়ে মাখি না। যখন নতুন ছিলাম, তখন এসব গায়ে লাগত, মন খারাপ হতো। এখন এসবে বিচলিত হই না। আমি মনে করি, আমাকে কাজ করে যেতে হবে। আমি এখন কাজে মনোযোগ দিয়েছি।’
শিশুশিল্পী হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় দীঘির। শৈশবেই বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২১ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা দীঘির অভিষেক হয়। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে অভিনয় করেন।
গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে দীঘি অভিনীত নতুন সিনেমা ‘৩৬ ২৪ ৩৬’। ছবিতে অন্যরকম একটি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
আরএমডি/জিকেএস