বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল ঐতিহ্যে কালিমা লেপনের নানামুখী চক্রান্ত চলছে বলে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামি আলোচক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে শায়েখ আহমাদুল্লাহ লেখেন, আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল ঐতিহ্যে কালিমা লেপনের নানামুখী চক্রান্ত চলমান আছে। সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান করছি। কোনো অবস্থাতেই কারো উস্কানির ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয়।
ওই পোস্টে সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার দিকে ইঙ্গিত না করলেও ধারণা করা যাচ্ছে, চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন হাজারী গলি এলাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় ১২ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন। সেখানে ইসকন নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য ছিল। ফটোকার্ড সংবলিত সেই পোস্ট ফের ফেসবুকে শেয়ার করেন হাজারী গলির মিয়া শপিং সেন্টারের একটি দোকানের মালিক। আর সেই পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একাংশ দোকানটি ভাঙচুর করেন এবং ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালান। বিক্ষোভকারীরা ওই ব্যবসায়ীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে ‘এসিড’ ছুঁড়ে মারা হয়। এতে যৌথ বাহিনীর ১২ সদস্য আহত হন। যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্স-৪ চট্টগ্রাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘হাজারী গলির ওসমান গণি নামে এক ব্যবসায়ী একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। পোস্টটি ইসকন সম্পৃক্ত, যা নিয়ে কিছু লোকজন সংক্ষুব্ধ ছিলেন। ওই ব্যবসায়ীকে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ গিয়ে আক্রমণকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে যারা আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। তাদের আক্রমণে আমাদের ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একজন এসিড আক্রান্ত আছেন। ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’
ওএফএফ/জেআইএম