ফরজের তৃতীয় রাকাতে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়লে করণীয়

0
3


একা নামাজ আদায়কারী বা মুনফারিদ এবং ইমামের জন্য ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে কোরআন তিলাওয়াত করা ফরজ। সুরা ফাতেহা তিলাওয়াত করা ওয়াজিব এবং সুরা ফাতেহার পর কোরআনের অন্য জায়গা থেকে কমপক্ষে ছোট তিনটি আয়াত বা বড় একটি আয়াত তিলাওয়াত করা ওয়াজিব।

জোহর ও আসরের নামাজে এ কেরাত নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করতে হয়। ফজর, মাগরিব, ইশা ও জুমার নামাজে এ কেরাত উচ্চৈস্বরে তিলাওয়াত করতে হয়।

মাগরিবের নামাজের শেষ রাকাতে এবং অন্যান্য ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সুরা ফাতেহা তিলাওয়াত করা সুন্নত এবং সব ফরজ নামাজেই এ এক/ দুই রাকাতের কেরাত নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। একাকি পড়া হোক কিংবা জামাতে। তাই এ দুই রাকাতে কেউ যদি ভুল করে ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত পরিমাণ উচ্চৈস্বরে তিলাওয়াত করে তাহলে তার ওপর সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। ছোট একটি/দুটি আয়াত উচ্চৈস্বরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

প্রসঙ্গত, ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় সাহু সিজদা বলা হয় কোনো কারণে ত্রুটিযুক্ত হয়ে পড়া নামাজের শেষ বৈঠকে আত-তাহিয়াত পড়ে শুধু ডান পাশে সালাম ফিরিয়ে দুটি অতিরিক্ত সিজদা করাকে। সাহু সিজদার পর আবার আত-তাহিয়াত পড়ে, দরুদ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে ডান ও বাম পাশে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।

নামাজে কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে, কোনো ফরজ দুবার আদায় করলে, কোনো ওয়াজিব পরিবর্তন করলে এবং কোনো ফরজ বা ওয়াজিব আদায়ে দেরি হলে সিজদায়ে সাহু আদায় করতে হয়। সাহু সিজদার মাধ্যমে ওই ভুলগুলোর প্রতিবিধান হয় এবং নামাজ বিশুদ্ধ হয়ে যায়। উপরোক্ত ভুলগুলো হওয়ার পরও সাহু সিজদা আদায় না করলে ত্রুটিযুক্ত নামাজটি আবার পড়ে নেওয়া ওয়াজিব।

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।